আপনারা যারা এখনও স্কুল অথবা কলেজে পড়ছেন, তাদের অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু টাকা উপার্জন করতে চান। আজকের এই আর্টিকেলে আমি পাঁচটি উপায় বলবো, যার মাধ্যমে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
১. ফ্রিল্যান্সিং : ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ হিসেবে বলা যায় স্বাধীনভাবে নিজের ইচ্ছামত কাজ করা। যেমন ধরুন, একজন শিক্ষক যখন স্কুলে পড়ান, তখন তিনি সেই স্কুলের অধীনে বা সরকারের অধীনে কাজ করছেন। কিন্তু তিনি যদি টিউশন পড়ান, তবে তিনি স্বাধীনভাবে নিজের ইচ্ছামত পড়াতে পারবেন, যখন তখন ছুটি নিতে পারবেন।
তেমনই আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। আপনি অনলাইনে ডেটা এন্ট্রি, ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, কন্টেন্ট লেখা ইত্যাদি অনেক কাজ করতে পারেন। আর এইসব কাজ মোটেও কঠিন নয়। এখন এমন অনেক টুল আছে, যার সাহায্যে আপনি সহজেই লোগো, ব্যানার ইত্যাদি বানিয়ে ফেলতে পারবেন মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
এমন কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হলো – freelancer.com, upwork.com, fiverr.com ইত্যাদি।
২. ব্লগিং : ইন্টারনেটে আয় করার অন্যতম উপায় হলো ব্লগিং। নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইট বানিয়ে তাতে নিজের পছন্দমত বিষয়ের ওপর নিয়মিত লিখতে শুরু করলে এবং ইচ্ছাশক্তি থাকলে এর থেকে মাসে কমপক্ষে ৮ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
গুগল ব্লগস্পট এর মাধ্যমে বিনামূল্যেই নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইট বানানো যায়।
৩. হোম টিউটরিং : অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের জন্য গৃহ শিক্ষকতাকে বেছে নেন। আপনি নিজে যে বিষয়ে দক্ষ, সেই বিষয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন। তাতে আপনার সেই বিষয়ের ওপর দক্ষতা আরো বাড়বে এবং এর সাহায্যে আপনি অন্তত নিজের খরচ চালানোর মত আয় করতে পারবেন।
৪. ইউটিউব : ভারতে জিও যুগ শুরু হওয়ার পর ইউটিউবের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং করোনাকালে লকডাউন চলাকালীন প্রচুর নতুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়েছে এবং কম সময়ের মধ্যেই তাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পড়াশোনার পাশাপাশি অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে অর্থ উপার্জন করছেন।
ইউটিউবে গেমিং, ফানি কন্টেন্ট (funny content), টিউটোরিয়াল ইত্যাদি নানা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রেও চাই অনেক ধৈর্য্য ও ইচ্ছাশক্তি।
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : এটি অর্থ উপার্জনের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি উপায়। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট ইত্যাদি অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মের অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনি যদি কাউকে কোনো প্রোডাক্ট এর লিঙ্ক শেয়ার করেন, এবং তিনি যদি সেটি কেনেন, তবে তার জন্য আপনি কমিশন পাবেন। এর মাধ্যমেও আপনি মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
আজ এটুকুই। এরকম আরো আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন।
লিঙ্ক: Telegram