শিনচ্যান ,ডোরেমন , টম এন্ড জেরি – না জানি এমন কত কার্টুন শো এর জন্য আমাদের ছোটবেলা অনেক সুন্দর কেটেছে। স্কুল থেকে ফিরেই টিভির সামনে বসে পড়া আর মায়ের হাতে ভাত খেতে খেতে কার্টুন দেখার মজাই ছিল আলাদা।
তবে আমাদের প্রিয় এইসব কার্টুন নিয়ে অনেক মজার ফ্যাক্ট আছে , যা অনেকেরই অজানা। আজ শিনচ্যান আর ডোরেমন কে নিয়ে লিখছি ।

১ . শিনচ্যান কে নিয়ে ভুয়ো গল্প

সোশ্যাল মিডিয়ার আশীর্বাদে শিনচ্যান কে নিয়ে একটি ভুয়ো গল্প খুব ভাইরাল হয়েছিল। যাতে বলা হয়েছিল শিনোসুকে নোহারা নামের এক পাঁচ বছরের বাচ্চার গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে তার মা ট্রমা তে চলে যায় এবং তাকে কল্পনা করে অনেক স্কেচ আঁকে , যা দেখে শিনচ্যান এর স্রষ্টা শিনচ্যান চরিত্রের জন্ম দেন। গল্পটি দুঃখজনক হলেও সম্পূর্ণ ভুয়ো।

 

২. ভারতে শিনচ্যান কার্টুন সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল

২০০৮ সালে ভারতে শিনচ্যান কার্টুন সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কারণ শিনচ্যান এ দেখানো কিছু ছবি বাচ্চাদের জন্য অনুপযুক্ত ছিল বলে মনে করা হয়েছিল ( কিছু কিছু দৃশ্য শুধু মাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ছিল )।
শিনচ্যান এর দুস্টুমি দেখে অনেক বাচ্চা তাকে নকল করতো , যার ফলে অনেক অভিভাবক এর বিরুধ্যে অভিযোগ জানায়।

এই ঘটনা শুধু ভারতেই নয় , স্পেন , দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়া তেও একই ঘটনা ঘটেছিলো।

কিন্তু দর্শকদের প্রচুর অনুরোধে এবং চাহিদার ফলে শিনচ্যান আবার ফিরে আসে। তবে অনেক দৃশ্য বাদ দিয়ে দেখানো হয়ে এবং কিছু কিছু স্ক্রিপ্ট সম্পূর্ণ রূপে পাল্টে ব্যবহার করা হয়, যেমন – শিনচ্যানের বাবার মোদের বোতল কে জুসের বোতল বলে দেখানো , ইত্যাদি।

যদি আসল ভার্সন দেখতে হয় তবে এর Manga পড়তে হবে। দেখো , লজ্জা পেওনা আবার  😉

৩. ডোরেমনের কান কোথায় গেলো ? ডোরেমন বেড়াল হয়েও ইঁদুর দেখে ভয় পায় কেন ?

Doraemon কথার জাপানি ভাষায় অর্থ হলো Stray Male Cat , যার সহজ ভাষায় মানে দাঁড়ায় আওয়ারা বিড়াল ( রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ছেলে বেড়াল ) ।  প্রথমে ডোরেমন এর গায়ের রং ছিল হলুদ। আর তখন তার কান ও ছিল। হঠাৎ একদিন ডোরেমন ঘুমিয়ে থাকাকালীন ওর কান ইঁদুর খেয়ে ফেলে ( এর জন্যই ডোরেমনের কান নেই ) এবং কান হারানোর দুঃখে সে Sadness নামের একটি পানীয় খেয়ে ফেলে, যার কারণে ডোরেমনের গায়ের রং নীল হয়ে যায়

৪. ডোরেমন কার্টুন এর শেষ দৃশ্য

ডোরেমন এতটাই জনপ্রিয় যে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে আট থেকে আশি , প্রায় সকলের মন জয় করে নিয়েছে।
তবে ডোরেমন এর গল্পের শেষ দৃশ্য আছে এবং তা Manga তেও লেখা হয়েছে ।

এর শেষ দৃশ্য অনুযায়ী , একসময় ডোরেমনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যায় এবং সে চলাফেরা বন্ধ করে নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকে। এখন , এক ভবিষ্যতে তৈরী রোবটের ব্যাটারি বর্তমানে পাওয়া অসম্ভব ছিল , আর সেই সময় এমন কেউ ছিল না যে সেই ব্যাটারি তৈরী করতে পারে। এই ঘটনার প্রভাব নোবিতার ওপর এমন গভীর ভাবে পড়েছিল , যে সে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে এতো পড়াশোনা করবে , যাতে একদিন সে ডোরেমনের ব্যাটারি বানাতে পারে। এবং এমনটা সত্যি হয়েছিল।

বড়ো হয়ে সে একজন রোবোটিক্স প্রফেসর , রোবোটিক টেকনিশিয়ান এবং AI ডেভেলপার হয় ও ডোরেমনের ব্যাটারি তৈরী করতে সফল হয়। ফলে ডোরেমন আবার প্রান ফিরে পায়।

এরপর নোবিতার পরের জেনারেশন ডোরেমন কে টাইম মেশিন এর মাধ্যমে ছোটবেলার নোবিতার ( যেই নোবিতা কে আমরা চিনি ) জীবনে পাঠায়কি ? Inception এর মতো ধাঁধিয়ে দেওয়া গল্প না ?

 

 

Prantosh Biswas
Author

A Devotee of Lord Shree Krishna 🦚 | Full Stack Website and Mobile App Developer 🧑‍💻

4 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Eshita Roy
Eshita Roy
1 year ago

এটা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল ❤️

Shreya
Shreya
1 year ago

Loved it . Aro koyekta thakle valo hoto